নরসিংদীতে চেয়ারম্যান হত্যা: কাতারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেপ্তার
নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় 'মাস্টারমাইন্ড' রাসেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, রাসেল দেশ থেকে পালিয়ে কাতারে চলে যেতে চেয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার কাতার বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশ ১২ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাসেলকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। দেশে ফেরার পর শুক্রবার সকালে ঢাকা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে নরসিংদী জেলা পুলিশে হস্তান্তর করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
রাসেলকে এ হত্যাকাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, 'এ ঘটনায় রাসেলসহ এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
রাসেল মাধবদী থানার পৌলানপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় সুপারশপ ব্যবসার পাশাপাশি দেশেও সুপারশপের ব্যবসা করতেন। এ ছাড়া, তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তবে তার দলীয় পদ-পদবী নেই।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার পর এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারনামীয় আসামি দুজন। হত্যার কাজে ব্যবহৃত গুলির খোসা ও ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'রাসেল এ মামলার ২ নম্বর আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।'
আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়ার ভগীরথপুর এলাকার শাহী ঈদগাহের সামনে মাহবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় তার ২ সহযোগীও আহত হন।
ঘটনার পরদিন নিহত মাহাবুবুল হাসানের ছোটভাই হাফিজ উল্লাহ বাদী হয়ে মাধবদী থানায় মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমানকে এক নম্বর আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Comments