হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার উপজেলা চেয়ারম্যানের সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। 

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হয়।

মামলার বাদী কায়সারুল হক জুয়েলের আইনজীবী শুভাশীষ শর্মা বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি কক্সবাজার) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার বাদী কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। গত ১২ জুন কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আমার বড় ভাই মাশেদুল হক রাশেদ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী গত ৬ জুন কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবনিয়াছড়া এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। সে সভায় ইমরুল কায়েস আমাকে উদ্দেশ করে বলেন, "২০১৯ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি ৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছি বলেই আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে আমি ৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছিলাম। তা না হলে আপনি জুয়েল উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতেন না।" একই বক্তব্যে ইমরুল আমাকে অকৃতজ্ঞ ও অমানুষ বলেও মন্তব্য করেন।'

জুয়েল আরও বলেন, 'এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমার মানহানি ছাড়াও সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, ইমরুল ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণকে বিতর্কিত করেছেন। তাই আমি মামলাটি দায়ের করেছি। ইমরুলের এই বক্তব্যের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়েছে।'

তবে এ ধরনের বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। 

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, 'বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে, তা এডিটেড। সেটা আমার বক্তব্য নয়।' 

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

8h ago