প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে পুলিশের এসআই ও সোর্স আটক
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় এক প্রবাসীর স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় জনতার কাছে হাতেনাতে আটক হয়েছেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও পুলিশের এক সোর্স।
আজ রোববার আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন এসআই এসএম আমিনুল ইসলাম ও তার সোর্স মো. শহিদুল ইসলাম জাহেদ (৪৫)।
এসআই আমিনুল ইসলাম ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন এবং সম্প্রতি সিএমপির চান্দগাঁও থানা থেকে খুলশী থানায় যোগদান করেছেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৬ ভরি ওজনের আটটি চুড়ি উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, 'আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে এসআই আমিনুল ও জাহেদকে স্বর্ণালংকারসহ জনসাধারণ আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাদের দুজনকে আটক করে খুলশী থানায় আনা হয়।'
পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সৌদিপ্রবাসী মো. আব্দুল মালেক তার মালামাল নিতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তিনি মালামাল ও স্বর্ণালংকার নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় এসআই আমিনুল ও তার দুই সোর্স অটোরিকশাটি দাঁড় করান।
সূত্র আরও জানায়, ওই তিনজন টাইগারপাসের একটা গলিতে নিয়ে আব্দুল মালেকের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন এবং দুপুর ১২টার দিকে তাকে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে নিয়ে যান। তারা আব্দুল মালেককে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তিনি এসআই আমিনুল ও তার এক সোর্সকে ঝাপটে ধরে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে পথচারী ও অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে এসে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসআই ও তার সোর্সকে খুলশী থানায় নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলা হবে। আইন অনুযায়ী এ ঘটনায় এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।'
Comments