কুয়াকাটায় ‘যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে’ ইউপি চেয়ারম্যানকে হাতুড়িপেটা

হামলায় আহত ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আহত ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়।

বুধবার রাত ৮টার দিকে আলীপুরে রাস্তায় আনছার উদ্দিনের ওপর হামলা হয়। তিনি লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার স্ত্রীও এ সময় সঙ্গে ছিলেন। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে তার দুই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত থেঁতলে দিয়েছে। এ ছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। স্থানীয়রা আনছার উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন বলেন, আলীপুরে বাড়িতে ফেরার পথে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়। যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজুসহ আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেন বলে তার অভিযোগ।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মুমসাদ সায়েম পুনাম বলেন, তার দুই পা ও কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণও হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাকে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago