২ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে ৪ সপ্তাহ মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না

সুপ্রিম কোর্ট

আদালত বর্জন কর্মসূচি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে 'কিছু অবমাননাকর বক্তব্য' দিয়ে চিঠি লেখার ঘটনায় দুই আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলকে আগামী চার সপ্তাহের জন্য আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কোনো মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

একই সময়ের মধ্যে চিঠির বিষয়ে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে এবং আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল আদালতের তলব আদেশ পালনে হাজির হন।

মহসিন ও বাদলের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ব্যাখ্যা দিতে আদালতের কাছে সময় চান।

গত ৩ জানুয়ারি এই দুই আইনজীবীকে তাদের আদালত বর্জনের কর্মসূচির বিষয়ে জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে আজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির 'অ্যাডহক কমিটির' আহ্বায়ক মহসিন ও সদস্য সচিব বাদলকে আজ সকাল ৯টায় আপিল বিভাগের বেঞ্চে হাজির হয়ে চিঠি জারির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।

আদেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বক্তব্য রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের মর্যাদা, অবস্থান ও মর্যাদাকে অবমাননা করছে বলে প্রতীয়মাণ হয়।

আদেশে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ কথা বলেন, এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদলকে এই আদালতে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা এবং কেন তাদের সাথে আইন অনুযায়ী আচরণ করা হবে না তা ব্যাখ্যা করতে বলা উচিত।

গত ১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর জন্য আবেদন করেন মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল। চিঠিটি গত ২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, ওই চিঠির অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

'গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধার এবং বিচারের নামে অবিচার বন্ধের' দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি সারাদেশে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবীরা। 

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

10h ago