চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফ কাটাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা তরুণ

চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফ কাটাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা তরুণ
মো. মনির। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফ পরা এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মো. মনির (২৫)।

আজ সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে নগরীর হালিশহর থানার বড়পোল সিএসডি গোডাউন রাস্তার মাথা থেকে তাকে আটক করে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান।

তিনি জানান, ওই তরুণের বাড়ি বাগেরহাট জেলার সদর থানায়। হ্যান্ডকাফ পরে তিনি কোথা থেকে পালিয়ে এসেছেন, তা জানতে তাকে নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

প্রতিবেদন লেখার সময় রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত হালিশহর থানার পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানে ছিল বলে জানিয়েছেন নিহাদ আদনান তাইয়ান।

হালিশহর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে আটটায় বড়পুল সিএসডি গোডাউন রাস্তার মাথায় একটি ভাঙ্গারি দোকানের সামনে হ্যান্ডকাফ পরে ঘোরাফেরা করছিলেন মনির। সেখানে তিনি হ্যান্ডকাফ কাটাতে গিয়েছিলেন। পরে আশেপাশের দোকানিদের সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় ট্রাফিক সার্জেন্ট সুখেন দেবকে বিষয়টি জানায়। সার্জেন্ট সুখেন সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে হালিশহর থানায় খবর দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানিয়েছেন, তিনি কিছুদিন আগে বাগেরহাট থেকে নগরে এসেছে। সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। তবে কোন এলাকার বা থানার পুলিশ তাকে আটক করেছিল, সেটি জানার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।'

উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনো নিশ্চিত নই যে তিনি আদৌ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বা আটক হয়েছিলেন কি না। আর আমরা হ্যান্ডকাফটি পরীক্ষা করেছি, সেটি পুলিশের ব্যবহার করা হ্যান্ডকাফ না। তিনি বন্দর থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বন্দর জোন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, কোনো আসামির পালানোর ঘটনা নেই সেখানে।'

'বর্তমানে তিনি হালিশহর থানার হেফাজতে রয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছি। পুলিশের হাতে তিনি আটক হয়েছিলেন কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago