গ্রামীণ কল্যাণের মুনাফা ভাগাভাগি নিয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছে হাইকোর্ট

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বেঞ্চ এই রায় দেন।
হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ জন সাবেক কর্মীর ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফার অংশ চাওয়ার বিষয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, শ্রম আইনে গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকেরা লাভের অংশ পাবে কি না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নেই।

হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, শ্রম আদালত আইনের অধীনে এটি করতে পারে।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বেঞ্চ এই রায় দেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পর গ্রামীণ কল্যাণকে তার কর্মীদের কোনো লাভের টাকা দিতে হবে না।

তিনি বলেন, লেবার আপিল ট্রাইব্যুনাল এই দাবিকে তার এখতিয়ারের বাইরে বৈধ ঘোষণা করেছে, কারণ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২৩১ এর অধীনে কোম্পানি এবং শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কোনো বিরোধ থাকলে তার কেবল ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

গ্রামীণ কল্যাণ এবং শ্রমিকদের মধ্যে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি তাই এই বছর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে তা আইনের বাইরে, যোগ করেন তিনি।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, ১০৬ জন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের দাবি বেআইনি কারণ গ্রামীণ কল্যাণ নিছক একটি স্বাস্থ্যসেবা দাতব্য সংস্থা, কোনো শিল্প কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নয়।

এদিকে, শ্রমিকদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এই প্রতিবেদককে জানান, তার মক্কেলরা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago