মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সময় আবেদন খারিজ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

সকালে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী দুটি পৃথক আবেদন দাখিল করেন- একটি তার মক্কেলের অনুপস্থিতির জন্য সময় আবেদন এবং অপরটি আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষী দেওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে।

প্রসিকিউশন আসামিপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছে, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্যই এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আবেদনে আইনজীবী বলেন, অসুস্থতার কারণে মির্জা আব্বাস আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি।

এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত ২০০৮ সালের ১৬ জুন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের পর তারা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মির্জা আব্বাস সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ-টু-আপিল করেন।

পরে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে মর্মে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর মির্জা আব্বাস সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করেন।

২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২৩ লাখ টাকার সম্পদ বিবরণী গোপন করার অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago