ধর্ষণ মামলার আলামতের সঙ্গে মামুনুলের ডিএনএ মিলেছে: আদালতে ফরেনসিক কর্মকর্তা
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের ২ কর্মকর্তা।
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষক রবিউল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আজ আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ফরেনসিক কর্মকর্তা সাক্ষ্যে জানান, এ মামলার জব্দকৃত আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষায় মামুনুল হকের সংগৃহীত রক্তের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে।'
'তবে তদন্তকারী কর্মকর্তার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়নি। আগামীতে তার বাকি সাক্ষ্য নেওয়া হবে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন', যোগ করেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছি। তাদের বক্তব্য এবং উপস্থাপিত কাগজপত্রের মধ্যে অসংলগ্নতা পাওয়া গেছে। আমরা শুরু থেকেই বলছি, রাজনৈতিক কারণে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা হয়েছে। মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা করছি।'
এর আগে, সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে নেওয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।
Comments