ট্রলারে ১০ মরদেহ: ‘ডাকাত সর্দার’ খাইরুল গ্রেপ্তার

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌকার এজেন্টের ৬ মাসের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় 'ডাকাত সর্দার' খাইরুল বশর সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস।

তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর সুমনকে কক্সবাজারে আনা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল ১০ মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে সুমন আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তার পরিচয় গোপন করতে মুখে দাঁড়ি রেখে ছদ্মবেশ ধারণ করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুমনের বাড়ি মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে। প্রথম দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে একজন সুমন।

গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রালারের মাঝিমাল্লারা সাগরে অর্ধ ভাসমান থাকা নামবিহীন একটি ট্রলারকে নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ২৫ এপ্রিল ট্রলারের মালিক সামশুল আলম প্রকাশের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৬০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের মধ্যে সামশুল আলমও রয়েছেন।

মামলায় এ পর্যন্ত  ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন কামাল হোসেন, ফজল কাদের মাঝি, আবু তৈয়ুব মাঝি, খায়ের হোসেন, মো গিয়াস উদ্দিন মুনির, দেলোয়ার হোসেন, করিম সিকদার ও ইমাম হোসেন।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে সুমনের নাম নানাভাবে আসতে থাকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া সুমন অস্ত্র, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থ যোগান দিয়ে ৭ এপ্রিল ১২ থেকে ১৩ জনের একটি গ্রুপকে সাগরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। তার ভাষ্য মতে ডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছিল ঘটনায় নিহত ট্রলার মালিক শামসুল আলম মাঝি।

সুমনকে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে আজ- যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago