মুগদা হাসপাতাল

ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি করা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে মারামারি, বাবা গ্রেপ্তার

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ বছরের এক শিশুর ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে ওই শিশুর বাবার মারামারি হয়েছে।

এ ঘটনায় শিশুর বাবা হাবিবুর রহমানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে মুগদা থানা পুলিশ।

মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, হাবিবুর রহমান পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি করাতে আজ বুধবার সকালে তিনি মুগদা হাসপাতালে যান। এ সময় তার ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে কর্তব্যরত এক চিকিৎসকের সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয় এবং এক সময় হাতাহাতি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে চিকিৎসক ২ আঙুলে আঘাত পান।

ওসি বলেন, 'ঘটনার পর ওই চিকিৎসক মুগদা থানায় মামলায় করেন। পরে আজ দুপুরে হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।'

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান ওসি।

এদিকে শিশুটির মা ও হাবিবুরের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, ওই ঘটনার পর অসুস্থ শিশুটিকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।  মেয়ের অবস্থা এখন ভালো না।

সাথী জানান, তাদের বাসা মানিকনগর এলাকায়। কয়েক দিন আগে তাদের মেয়ের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে আজ সকালে হাবিবুর ও তিনি তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দরজা বন্ধ পান তারা। তখন একজন আয়ার কাছে মেয়ের অবস্থা জানিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন। আয়া তাকে ডাক্তার দেখাতে বলেন। তখন হাবিবুর ও সাথী লক করা গেটে নক করলে খোলেন একজন চিকিৎসক।

হাবিবুর তখন ওই চিকিৎসককে শিশুটিকে একটু দেখতে অনুরোধ করেন। তখন চিকিৎসক সিট নেই উল্লেখ করে তাদের চলে যেতে বলেন বলে দাবি করেন সাথী। 

সাথী আরও বলেন, এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চিকিৎসক তার স্বামীকে চড় মারলে তার স্বামী ওই চিকিৎসকের কলার ধরেন। এরপর আরও কয়েকজন তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পরে ওই চিকিৎসক কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে হাবিবুর রহমান দরজায় লাথি দিয়ে দরজা খুলতে বলেন। পরে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে হাবিবুর রহমানকে একটি কক্ষে নিয়ে বসায়।

পরে তাদের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুদের জন্য নির্ধারিত ডেঙ্গু ওয়ার্ডে পাঠিয়ে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

সাথী জানান, তখন বাচ্চাসহ তিনি আবার নিচে এসে দেখেন তার স্বামীর হাতে হাতকড়া পরানো। কিছুক্ষণ পরে তাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, একদিকে বাসায় তার বাচ্চা খুব অসুস্থ, আরেকদিকে স্বামী থানায়। এ অবস্থায় কী করবেন বুঝতে পারছেন না তিনি।

এদিকে হাসপাতালের পরিচালক বা কেউ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

দুপুরে ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, সকালের ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago