অর্থ আত্মসাৎ: সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ৬ কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক ননী গোপাল নাথ, উপ-মহাব্যবস্থাপক সফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ২ আসামি হলেন হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা এবং পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।

অভিযোগ প্রমাণিত হলেও পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ আলতাফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন মামলার ৪ আসামির উপস্থিতিতে এই দণ্ড ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি মইনুল, আলতাফ, সফিজ ও কামরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক তাদেরকে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন, যা তাদের পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করে এবং মামলার অভিযোগকারীসহ ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে শাস্তি কার্যকর হবে বলে বিচারক তার রায়ে জানিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সোনালী ব্যাংকের ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

এ ঘটনার পর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে হুমায়ুন কবিরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ মে দুদকের উপ-পরিচালক এসএমএম আক্তার হামিদ ভূঁইয়া ও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে আরও ৩টি অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago