নাটোরে হাসপাতালে ঢুকে ৩ যুবককে কুপিয়ে আহত করল দুর্বৃত্তরা

নাটোরের আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা ৩ জনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ২ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে | ছবি: বুলবুল আহমেদ/স্টার

নাটোরের আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা ৩ জনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।

এরা হলেন—শহরের কান্দিভিটা এলাকার বাসিন্দা আলামিন (২৪), হাবিব (২০) ও আলিম (৩০)।

এদের মধ্যে আলামিন ও হাবিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারী মমিন (৩৬) নামে এক যুবক আহত হন।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের পাশে হেমাঙ্গিনী ব্রিজের ওপরে আলামিন এবং তার ২ বন্ধু হাবিব ও আলিমকে ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে যায়। এরপর হাসপাতালে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাদের অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

এর এক পর্যায়ে মমিন নামে এক হামলাকারী আহত হন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলাকারীদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়, জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সামিউল ইসলাম এবং ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টার বলেন, 'হাবিব ও আলামিনের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়েও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসপাতালের ভেতরে হামলার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বাইরে মারধরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

People will have to take to the streets for voting rights: Fakhrul

People will have to take to the streets like they did on August 5 to realise their voting rights, said BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir today

1h ago