বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ৮ আগস্ট

khaleda zia
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীর শুনানি মুলতবি চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

আবেদনে মাসুদ বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারের বাইরে থাকা খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ এবং তিনি তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুতরাং এই শুনানি মুলতবি করা উচিত।

এ ছাড়া মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে জব্দ করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও তারা এখনো পাননি বলেও জানান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করে বলেন, আসামিপক্ষ মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার হাজিরা মওকুফ করা হয়েছিল এবং তার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেসবাহ আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

শুনানির সময় বর্তমানে জামিনে থাকা মামলায় আরও ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ ২ জন অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার অপর আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সর্বোচ্চ দরদাতাকে দেওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি চুক্তিতে ১৫৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার সাবেক মন্ত্রিসভার ১০ জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছিল।

২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর এ মামলায় খালেদাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দুদক।

বিচার চলাকালীন সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ ৭ আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফলে বর্তমানে তালিকা থেকে ৯ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

8h ago