৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

dig mizan
বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান। ফাইল ছবি

পুলিশের বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ সাজা পেলেন তিনি।

এ অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করার দায়ে একই মামলায় মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগনে মাহমুদুল হাসান ও ভাই মাহবুবুর রহমানকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে সব আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এ অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

রায়ে মিজানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে তাকে আরও নয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

মিজানকে যে মেয়াদে ইতোমধ্যে কারাভোগ করেছেন সাজা থেকে তা বাদ দেওয়া হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় দেন।

বিচারক রায় পড়ার সময় মিজান, মাহমুদুল হাসান ও মাহবুবুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রত্না অনুপস্থিত ছিলেন।

পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে শাস্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

বিচারক পর্যবেক্ষণে বলেন, মিজান পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলেও তিনি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের জন্য জঘন্য অপরাধ করেছেন। তাই তিনি আদালত থেকে কোনো সুযোগ পাননি।

এর আগে বিচারক মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জ্ঞাত উৎসের বাইরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অর্জনের অভিযোগে মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না এবং ভাগনে পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করে।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদক তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমানকে গত বছরের ৩ নভেম্বর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

একই বছরের ২০ অক্টোবর আদালত এই মামলায় মিজান এবং অপর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অপরদিকে দুদকের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে মিজানকে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

11h ago