ভুয়া সনদে ১২ বছর চাকরি, ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ

গ্রেপ্তার মো. হেলাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১ যুগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন তিনি। নিয়োগের আগে নিয়মানুযায়ী জমা দিয়েছেন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জন্মসনদ ও জীবনবৃত্তান্ত। তবে সেগুলো যে ভুয়া, এমনকি তার নাম-ঠিকানাও যে আসল নয়, তা জানতে পারেনি কেউ। সর্বশেষ বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে একটি প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান তিনি।

এ ঘটনায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় ওই প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর তদন্তে নেমে নাম-ঠিকানার মিল না পেয়ে তাকে অব্যাহতির আবেদনসহ আরেক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে এতে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকা পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। শেষে পিবিআই জানতে পারে, মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে পরিচিত ওই ব্যক্তির আসল নাম মো. হেলাল উদ্দিন। বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার বড়শিবা এলাকায়। আর 'আসল' জাহাঙ্গীর আলম তারই স্কুল জীবনের সহপাঠী, যিনি এখন একটি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করার সুবাদে কৌশলে মো. হেলাল উদ্দিন তার বন্ধু মো. জাহাঙ্গীর আলমের অজ্ঞাতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, জন্মসনদ, ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র ও বায়োডাটার ফটোকপি সংগ্রহ করে রাখেন। পরে ওই কাগজপত্র দিয়ে প্রথমে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে এবং পরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেন।

পিবিআই বলছে, হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চাকরি করাসহ প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের মতো বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago