তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা: আদালতে আইনজীবীদের হাতাহাতি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার সময় আদালত কক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল মতিন নামে একজনের জবানবন্দি নেওয়া শুরু করার পর বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবী আদালত কক্ষে প্রবেশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তারা আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান। এসময় সাক্ষী আব্দুল মতিনকে লক্ষ্য করে ফাইলপত্র ছুড়ে মারা হয়। তিনি নাকে আঘাত পেয়ে সামান্য আহত হন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, এক পর্যায়ে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করা বন্ধ করেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জবানবন্দি নেওয়া স্থগিত ছিল। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত চত্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
পৌনে ৬টার দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের সহায়তায় আদালত কক্ষ থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বের করে দেয় পুলিশ। এর পর আবার সাক্ষ্য গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেন আদালত।
গতকাল একই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের তিন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে সমাবেশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন। টানা পাঁচ দিন জবানবন্দি রেকর্ড করতে গত ২৫ আদালত যে আদেশ দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এর প্রতিবাদ জানান।
অভিযোগপত্রে তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তারা ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন। তারেক আরও ১৫টি মামলার আসামি। এসব মামলার বেশিরভাগই ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা। জোবায়দাকে একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক কাফরুল থানায় তারেক দম্পতি ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করে। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
তবে জোবায়দার মায়ের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়।
Comments