১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) পদ্ধতির ব্যবসার নামে দ্বিগুণ মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা 'স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তর' করার অভিযোগে পুলিশের এক সাবেক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক (দুদক)।

আজ বুধবার বিকেলে দুদকের রাঙ্গামাটি কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের চট্টগ্রাম জেলা অফিস-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।

মামলার আসামি টারজান খীসা (৪২) বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানা এলাকার কল্যাণপুর সড়কের যতীন প্রকাশ খীসার ছেলে। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বাহিনী থেকে বরখাস্ত হন তিনি।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে হিসাব খোলা, লেনদেন করা এবং মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার লেনদেনপূর্বক তা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তর করে তিনি মানিলন্ডারিং করেছেন।'

দুদকের তদন্তে বলা হয়, টারজান খীসা এমএলএম প্রতিষ্ঠান ইউনিপে টু ইউর প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালে ইউনিপে টু ইউর রাঙ্গামাটি জেলার প্রধানের দায়িত্বে থাকা উদ্দীপন চাকমার সঙ্গে টারজান খীসার সখ্যতা আছে। তিনি ইউনিপে টু ইউর রাঙ্গামাটি জেলার 'সেকেন্ড ম্যান' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া তার মেয়ে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে পলাতক উদ্দীপন চাকমার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছেন বলেও জানা যায়।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago