খাগড়াছড়িতে চলছে না যানবাহন, পরিবহন ধর্মঘট রাঙ্গামাটিতে

দুই পার্বত্য জেলায় সহিংসতার পর ধর্মঘটের প্রথম দিন রাঙ্গামাটি শহরে ফাঁকা রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটিতে এবং খাগড়াছড়িতে সহিংসতার জেরে পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধে সড়ক ও নৌপথে দুই পার্বত্য জেলায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পরিবহন মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলছেন নিরাপত্তার অভাব, হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের কারণে তারা যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটির যান চলাচল।

সহিংসতার ঘটনায় রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়িতে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী পুলিশ এবং বিজিবির যৌথ টহল চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সূত্রগুলো। বন্ধ রয়েছে বাজার, দোকানপাট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।

সকাল থেকে ফাঁকা রাঙ্গামাটির সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। বিভিন্ন জায়গার সহিংসতার ঘটনায় শ্রমিক ও ড্রাইভাররা অনিরাপদ বোধ করছেন। তাই আমরা যান চলাচল সর্বসম্মতভাবে বন্ধ রেখেছি।

শুক্রবারে রাঙ্গামাটির বনরুপা বাজার এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে সব ধরনের যানবাহন, নৌপথে লঞ্চ ও নৌকা চলাচল বন্ধ হয়েছে।

রাঙ্গামাটির বাস মালিক সমিতি এবং লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল ৩০টির বেশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন মালিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

যান চলাচল বলতে শুধু বাস নয়, অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটি শহরে, বলেন সেলিম।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ জানান, নতুন করে সহিংসতা এড়াতে যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Curfew extended in Gopalganj indefinitely

It will be relaxed for three hours between 11am and 2pm

1h ago