আখাউড়ায় পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত, একই গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার ৩৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক পুলিশ কনস্টেবল ছুরিকাহত হন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শুক্রবার রাতেই ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে মাদক উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ছুরিকাহত হন খায়রুল ইসলাম (৩৫)। তিনি আখাউড়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫৬ জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্য শিবনগর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানে যান। শিবনগর গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা সেলিম ও সোহেল মিয়া নামে আরেক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সেলিম ও সোহেলের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও কপালে ছুরিকাঘাত করে সেলিম ও সোহেল পালিয়ে যান।

আহত খায়রুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূপুর কুমার সাহা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই শিবনগর গ্রাম থেকে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের ছুরিকাঘাতে কনস্টেবল খায়রুল আহত হওয়ার ঘটনায় শিবনগর গ্রাম থেকে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সেলিম ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তারকৃত ৩৬ জনই সেলিমের স্বজন এবং তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় মাদক সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলা আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

4h ago