বারহাট্টায় স্কুলশিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা: অভিযুক্তের শাস্তি দাবি
নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুলশিক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মণকে (১৬) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত কাউসার মিয়াকে (১৮) জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ ঘটনায় অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে কাউসার মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে অভিযুক্ত কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে নেত্রকোণায় স্কুলশিক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মণকে (১৬) কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নেত্রকোণা জেলা কমিটি জেলা শহরের ছোট বাজারে স্থানীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে কর্মসূচির আয়োজন করেন। এতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়।
বালাদেশ মহিলা পরিষদ নেত্রকোণা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম এ্যানির সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক নেলী বড়ুয়া, জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা সংসদের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সভাপতি পূরবী কুণ্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় তালুকদার, জলসিঁড়ি পাঠাগারের পরিচালক কলেজ শিক্ষক দীপক সরকার, আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুল কবির সরকার, সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী, চন্দন চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে।
এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে শহরের শসিলজ এলাকায় 'সর্বস্তরের জনতা, ময়মনসিংহ' এর ব্যানারে সমাবেশ হয়েছে। এতে সিপিবি ময়মনসিংহ ইউনিটের জেলা সভাপতি এমদাদুল হক মিলাত, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন, উদীচীর জেলা সাধারণ সম্পাদক যিশুতোষ তালুকদার, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম, কবি ইয়াজদানী কোরায়শী কাজলসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, নিহত মুক্তি রানী বর্মণ প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তি রানী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাউসার কয়েকজন সহযোগীসহ তার পথরোধ করেন। একপর্যায়ে ধারাল দা দিয়ে তিনি মুক্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করেন।
Comments