বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর তদন্তের নির্দেশ সিআইডিকে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুশরাকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ডিবির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ফারদিনের বাবা অনাস্থা আবেদন করলে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনে ফারদিন হত্যা মামলার বাদী কাজী নূরউদ্দিন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
অনাস্থা আবেদনে তাই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার ছেলের হত্যার আরও তদন্তের দাবি জানান।
আগামী ২৪ মে'র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৮ জানুয়ারি জামিন পাওয়া আমাতউল্লাহ বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফারদিন গত বছরের নভেম্বরে আত্মহত্যা করেন এবং তাকে কেউ হত্যা করেনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে ইয়াসিন শিকদার বলেন, 'আমি ঘটনাস্থল ও অন্যান্য স্থান থেকে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টসহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ যাচাই করে দেখেছি যে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। সুতরাং বুশরা ও মামলার অন্য আসামিরা এ মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।'
তবে ফারদিনের বাবা দাবি করেন, তার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারেন না।
ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।
নিখোঁজের প্রায় ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Comments