হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু: এবার আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করল র‍্যাব

মো. আল-আমিন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. আল-আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ৩।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার র‍্যাবের পরিচালকের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার প্রধান আসামি আল-আমিন।

একই মামলার আসামি নওগাঁর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন এর আগে র‍্যাব হেফাজতে মারা যান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, 'চক্রটি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের নাম-পরিচয়ে ফেইক ফেসবুক আইডি খুলে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পরে এনামুল হক বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৩ মার্চ আল-আমিন এবং তার সহযোগী সুলতানা জেসমিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি নিয়মিত মামলা করেন।'

'মামলা দায়েরের পর আসামিকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এবং এক পর্যায়ে গতকাল আটক করা হয়। আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান', এতে যোগ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আল-আমিন একজন বিকাশ, নগদ ও মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। এই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার সুযোগ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম-পদবি ব্যবহার করে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago