চট্টগ্রামে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবলীগ নেতার মামলা

Digital security act
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক যুবলীগ নেতা।

আজ বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর।

মাহবুব আলম যুগান্তরের ঢাকা অফিসের বিশেষ প্রতিনিধি।

সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ মার্চ যুগান্তরে সিআরবি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে হেলাল আকবর চৌধুরীকে জড়ানো হয়। আরও বলা হয়, পরদিন অভিযুক্ত সাংবাদিক তার ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করেন। প্রতিবেদনটিতে বাদীকে দখলবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এভাবে বাদীর মানহানি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদরদপ্তর সিআরবি এলাকায় জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামি।

রেলের ৪৮ লাখ টাকার দরপত্র নিয়ে বাবর ও ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাজু পালিত (২৪) ও স্থানীয় সিআরবি এলাকার শিশু আরমান (৮)। এদের মধ্যে সাজু পালিত ছিলেন বাবরের অনুসারী।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার এক মাস পরে যুবলীগকর্মী সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত বাদী হয়ে অজিতকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে একইসঙ্গে ২ মামলার তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে। সেখানে ৬৪ জনকে আসামি করা হয়, সাক্ষী করা হয় ৭ জনকে।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago