রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ

মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি।

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আইনজীবী এম এ আজিজ খানের রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট আবেদনে এম এ আজিজ খান হাইকোর্টের আদেশ ও প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদেশের পর সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দায়িত্ব পালনে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে মোহাম্মদ মোরশেদ।
 
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আইন ও সংবিধানের কোনো লঙ্ঘন নেই উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি এম এ আজিজ খানের আবেদন খারিজ করে দেন।

আজ আদালতে মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবিএম আলতাফ হোসেন এবং নিজের পক্ষে ছিলেন এম এ আজিজ খান।

আবেদনে এম এ আজিজ খান মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণার গেজেট প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০০৪ এর ধারা ৯ অনুযায়ী, মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না কারণ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৪ এপ্রিল শেষ হবে এবং তিনি ২ মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় আর রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিন আগে এই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago