১১৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় জামিন চাইলেন বিমানের ২১ কর্মকর্তা
১ হাজার ১৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক ও বর্তমান ২১ কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসাফুজ্জামান আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) আমিনুল ইসলাম বলেন, 'আদেশে বিচারক বলেছেন তারা আগের মতোই মুক্ত থাকবেন।'
গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট এই কর্মকর্তাদের জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানান ও তাদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বিমানের সাবেক ফ্লাইট ক্যাপ্টেন (অপারেশন) ইশরাত আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে নিজেদের লাভের জন্য এবং পরে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে ইজিপ্ট এয়ারের ২টি উড়োজাহাজ ইজারা ও পুনরায় সরবরাহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা লোকসান করে।
দুদক সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে ২টি বোয়িং ৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ ইজারা নেয়। প্রথম বছরের শেষে ২টি উড়োজাহাজেরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনগুলো ১২-১৫ বছরের পুরনো ছিল।
উড়োজাহাজ সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ইজারা নেওয়া হয়। দেড় বছর পর সেটিও নষ্ট হয়ে যায়।
এতে ৫ বছরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে এ তথ্য উঠে আসে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রথমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং ২টি উড়োজাহাজ ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের খোঁজ পায়। পরে দুদককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়।
এরপর ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে দুদক।
Comments