সার্ভারে অনুপ্রবেশ

ভুয়া জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রস্তুতকারী ডিএনসিসির ২ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৫

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সার্ভারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভুয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রস্তুতকারী চক্রের ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিআইডি জানায়, চক্রটি 'জন্ম নিবন্ধন হেল্প ডেস্ক' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রচারণা চালায় এবং এক দিনে যে কোনো জেলার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ দেওয়ার প্রলোভন দেখাতো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ওই ফেসবুক গ্রুপের ২ অ্যাডমিন মো. মাহবুব আলী (২৪), মো. শাহ আলম (২৫) এবং ডিএনসিসির স্প্রেম্যান মো. হাসান তারেক (৪৭), ভ্যাকসিনেটর কোহিনুর সুলতানা (৪৫) ও মো. ফয়সাল (১৯)।

সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের সিআইডির পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিএনসিসি এলাকায় বসবাসকারীদের জন্ম-মৃত্যু সনদ পেতে যথাযথ নথিসহ আবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, এই চক্রের সদস্যরা সব আবেদনের সঙ্গে একটিমাত্র বিদ্যুৎ বিলের কাগজ সংযুক্ত করে দিত। এসব কাগজ কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তারা জন্মসনদ বের করত।'

'ডিএনসিসিতে একজন কর্মকর্তা নিজস্ব আইডি ব্যবহার করে সার্ভারে প্রবেশ করে জমা দেওয়া নথি যাচাই করে আবেদন ফরোয়ার্ড করার কথা। কিন্তু ওই দুই কর্মী রহস্যজনকভাবে ওই আইডি পেয়ে যান এবং সার্ভারে লগইন করে আবেদনগুলো ফরোয়ার্ড করে দিত,' বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে চক্রটি ৫৫০ থেকে ১ হাজার টাকা নিত, যদিও এর সরকারি ফি মাত্র ৫০ টাকা। 

'গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন যে তারা গত ৬ মাস ধরে এভাবে অবৈধ উপায়ে সার্ভারে ঢুকে জাল কাগজ দিয়ে অন্তত ২ থেকে ৩ হাজার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করেছেন,' যোগ করেন তিনি।

সিআইডি জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ উভয় সিটি করপোরেশনের আরও কয়েকজন কর্মচারী এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago