নরসিংদী

দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত

স্বপন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে মেঘনার শাখা পাগলা নদীর পাড় বড়ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. স্বপন আহমেদ (৪২) বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বটতলীকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, তিনি ওই এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সরকারের সমর্থক ও তার বিরুদ্ধে হত্যা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় রায়পুরা থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। এলাকা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। রাতুল বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও আশরাফুল আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সদস্য। উভয়ের নামে হত্যাসহ ১০ থেকে ১২টি মামলা রয়েছে। আশরাফুল গত ৩ জানুয়ারি অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে।

স্থানীয়রা আরও জানান, নিহত স্বপন পুলিশের ভয়ে রাতে নৌকায় করে নদীতে অবস্থান করতেন। গতকাল রাতে পাগলা নদীর বড়ঘাট এলাকা থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম কমল বলেন, 'আমরা ধারণা করছি গতকাল রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ করছি।'

বাঁশগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির বলেন, 'আমি গতকাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করছি। সকালে স্বপন নিহত হওয়ার ঘটনা শুনে খোঁজ নিয়েছিলাম। কে বা কারা তাকে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে তার সমস্যা চলছে। এখন প্রতিবেশী এই ঘটনায় জড়িত কি না বা অন্য কেউ জড়িত কি না, মামলা করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দেখবে।'

রায়পুরা থানার এস আই আবুল কালাম বলেন, 'এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago