ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিতে সময় চেয়েছেন ফারদিনের বাবা

ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিলের সময় চেয়েছেন তার বাবা ও মামলার বাদী।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে নারাজি আবেদনের জন্য সময় চেয়ে একটি আবেদন করেন ফারদিন হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা।

আবেদন বাদী বলেন, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে তিনি এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করবেন।

এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এই মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছেন।

তবে, বিচারক তার জামিনের মেয়াদ পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।

গত ৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত বুশরাকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

আজ শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, 'ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তাকে কেউ হত্যা করেনি।'

'আমি ভিডিও ফুটেজ, তদন্ত, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট, ঘটনার স্থান এবং অন্যান্য স্থান থেকে নেওয়া বিভিন্ন প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি যে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। তাই বুশরা ও মামলায় উল্লেখিত অন্যরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না', প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, 'আমার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আমি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আবেদন করব।'

ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নাকচ হলে গত ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত ১১ ডিসেম্বর ডিবি ও র‌্যাব জানায়, ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

পরদিন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় বুশরার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago