সাবেক অধ্যক্ষ হত্যা: প্রধান আসামিকে পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার

সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যা
প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে (৬৮) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে পাটগ্রামের সীমান্ত এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পেশায় স্কুলশিক্ষক নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু (২৪) পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদ প্রধানের ছেলে।

পাটগ্রাম মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি প্রয়াত আবেদ আলীর ছোটভাই।

পুলিশ জানায়, গত ২০ জানুয়ারি রাতে বাড়ির পাশে পাটগ্রাম উপজেলা শহরের সাহেবডাঙ্গা এলাকায় এম ওয়াজেদ আলীকে মাথায়, গলায় ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি শহর থেকে একা পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেসময় এম ওয়াজেদ আলীর পিছু পিছু নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে যেতে দেখেছিলেন অনেকে।

নিহত এম ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিফাত হাসান প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন।

রিফাত হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবার সঙ্গে নাহিদুজ্জামানের শত্রুতা ছিল কিনা জানা নেই। এ হত্যাকাণ্ডে নাহিদুজ্জামানের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশ নাহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যদের নাম এবং হত্যার কারণ বের করবেন।'

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাবেক কলেজ অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী নিহত হওয়ার পর থেকেই নাহিদুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তিনি সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। আমরা তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'

'হত্যার কারণ ও কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। তথ্য উদঘাটনে আমরা চেষ্টা করছি,' যোগ করে তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago