কলাবাগানে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের জামিন আবেদন নাকচ

ফারদিন ইফতেখার দিহান। ফাইল ছবি

রাজধানীর কলাবাগানে ২০২১ জানুয়ারিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এই মামলার বিচার শেষ করার জন্য নির্ধারিত ১৮০ দিনের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে বলেছেন আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই মামলায় জামিন চেয়ে ফারদিনের করা আবেদনের ওপর ৯ দফা শুনানি শেষে বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজলের বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।'

তিনি বলেন, 'নিম্ন আদালত সবে মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা শুরু করেছেন, তাই এই মামলায় আসামি ফারদিনকে জামিন দেওয়া যাবে না।'

তবে ফারদিনের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তার মক্কেল ২ বছর ধরে কারাগারে ভুগছেন, তবে বিচারিক আদালত মোট ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৩ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।'

তিনি বলেন, 'হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, ফারদিন জামিন পাওয়ার অধিকারী। কেননা নিম্ন আদালত মামলার রেকর্ড পাওয়ার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে পারেনি।'

ফারদিনের জামিন আবেদনের শুনানির সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতেই ফারদিন ইফতেখার দিহানকে আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপারস আনার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, ওই ছাত্রী তাদের বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আসামি নিজেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামি ফারদিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

2h ago