অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৬ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজিরের আদেশ

মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

২০১৯ সালে দায়ের করা ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আগামী ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটরের আবেদনের পর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো, আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

ওই দিন বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কি না।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই হাজতি পরোয়ানার কারণে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আগামী ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেও মির্জা আব্বাস কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না।

নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মির্জা আব্বাসকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা।

আফরোজা আব্বাস এর আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও মেয়র ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে সম্পদ অর্জন করেন।

আফরোজা আব্বাস ও তার স্বামী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১২ এর অধীনে অবৈধভাবে সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর এবং সম্পদ গোপন করার অভিযোগ করা হয়।

২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন ও রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

11h ago