ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত-র‍্যাব আহতের ঘটনায় ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত। গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত এবং র‍্যাব সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কক্সবাজারে কর্মরত ডিজিএফআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গত ২৩ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি মামলাটি করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান আজ শনিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় ৩১ জনের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) কমান্ডার ইন চিফ আতাউল্লাহ আবু আমমার জুনুনীকে (৪৬)।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সোহাগ রানাকে।

১৪ নভেম্বর রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় ডিজিএফআই ও র‌্যাবের যৌথ মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের ওপর মাদক পাচারকারীরা হামলা চালায়। এতে এক ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত এবং এক র‌্যাব সদস্য আহত হন।

নিহত ডিজিএফআই কর্মকর্তা হচ্ছেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি এবং আহত র‍্যাব সদস্যের নাম সোহেল বড়ুয়া।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আরসার সামরিক প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম মার জুনুনীর সঙ্গে মামলায় তুমব্রুর শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মাস্টার দিল মোহাম্মদ, মৌলভী আরিফ আহমদ, আরসার কমান্ডার উৎসব খালেদ, মাওলানা মোস্তফা, আবদুর রহমান, জুবায়ের, শাকের, কাওসার, নোমান চৌধুরী,  জিন্নাত উল্লাহ,  লাল মোহাম্মদ,  হাফিজ নুর,  রহিম উল্লাহ, মৌলভী আজীজকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিদের মধ্যে ১৭ জন শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে বসবাস করেন। অন্য আসামিরা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা।

শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার দীল মোহাম্মদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'মামলার বিষয়ে কিছু জানি না। আমি সবসময় বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি।'

মামলার তদন্তের অগ্রগতি ও সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ রানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago