তুমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাকারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত

তুমব্রু
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত। গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাকারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

সোমবার রাতে র‌্যাব ও ডিজিএফআই যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে এ ঘটনা ঘটে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অভিযানে র‌্যাবের একজন সদস্য আহত হন বলেও আইএসপিআর জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব ও ডিজিএফআই মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার বান্দরবান জেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাকারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা নিহত হন এবং র‍্যাবের এক সদস্য আহত হন।

নিহত ডিজিএফআই সদস্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এর আগে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'আমাদের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে একটি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল। অভিযান চলাকালে "রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের" বাধার সম্মুখীন হই। সেখানে তাদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের এক বা দুইজন র‌্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হতে পারেন।'

ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টন্টু সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকায় র‍্যাবের ওপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে র‍্যাবের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।'

এদিকে রাত পৌনে ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় র‍্যাবের এক সদস্যকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত এক র‍্যাব সদস্যকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।'

আহত সোহেল বড়ুয়া (৩০) র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নে কর্মরত বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago