ফরিদপুরের ডা. জাকির জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার: সিটিটিসি

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গত ৮ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গতকাল বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিটিটিসি ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহমেদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জাকির আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জাকির ও তার অন্য ১৬ সহযোগী আনসার আল ইসলামের তৎপরতা বাড়াতে দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলেন।

এডিসি আহমেদুল বলেন, 'আমরা জাকিরের কাছ থেকে কিছু নাম পেয়েছি, যারা সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।'

জাকির স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন।

তদন্তকারীদের তথ্যমতে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবু সামির নামে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তারপর সামিরের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন তিনি।

৩ বছর ধরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন জাকির।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৮ নভেম্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর বিভাগে দায়িত্ব শেষ করে দুপুর ২টার দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ফোন থেকে তার স্ত্রীকে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ নেই এবং যে কোনো সময় তার ফোন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তার ফোন থেকে আরেকটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন ফকিরের কাছে।

এতে বলা হয়, তার (জাকিরের) শাশুড়ি অসুস্থ এবং তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় যেতে হবে। পরের দিন (১০ নভেম্বর) তিনি ফিরবেন।

মহসিন উদ্দিন বলেন, 'জাকিরের স্ত্রী তখন আমাকে জানান, জাকির বাড়িই ফেরেননি। তার মাও অসুস্থ নন।'

 এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এর আগে গত সোমবার সিটিটিসি কিশোরগঞ্জ থেকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরেক চিকিৎসক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক মির্জা কাওসারকে (২৮) গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার ওই চিকিৎসক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

Comments