নরসিংদীতে থানা হাজতে আসামির ‘আত্মহত্যা’, তদন্ত কমিটি
নরসিংদীর রায়পুরা থানা হাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামে এক হত্যা মামলার আসামি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন মিয়া জানিয়েছেন, আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুজন শার্ট খুলে থানা হাজতের বাথরুমের রডে পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ রায়কে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ওই ব্যক্তিকে আমাদের কাছে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার গলায় দাগ আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
গত ৫ নভেম্বর স্ত্রী লাভলী আক্তারকে (৩০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সুজন। সোমবার রাতে ফরিদপুরের সদরপুর থানার আটরশি এলাকা থেকে তার গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা পুলিশ।
সুজন রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে।
গত ৬ নভেম্বর রাতে লাভলীর মা মালেকা বেগম সুজন ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন মিয়া আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে সুজন লাভলীকে হত্যা করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ নভেম্বর আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করায় তাকে রায়পুরা থানা হাজতে আনা হয়েছিল।
Comments