পাচার অর্থ ফেরত আনতে সেল গঠনে ৩ মাস সময় পেল বিএফআইইউ
অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে এবং পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে একটি গবেষণা সেল গঠনে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) আরও ৩ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার একটি স্বপ্রণোদিত রুল শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট বিএফআইইউকে এই সেল গঠন করতে এবং ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আজ বিএফআইইউ একটি প্রতিবেদন দাখিলের পর গবেষণা সেল গঠনে আদালত আরও ৩ মাস সময় দেন।
এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশ দেওয়ার জন্য আদালত আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকের মাধ্যমে বিএফআইইউ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। সংস্থাটি জানায়, তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে গবেষণা সেল গঠনের জন্য জনবল নিয়োগের অনুরোধ করেছে এবং নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিবেদনে বিএফআইইউ আরও বলেছে, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য তথ্য, প্রমাণ ও অন্যান্য সহায়তা পেতে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে।
একই রুলের শুনানিকালে হাইকোর্ট বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসকে বলেন, 'পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে শুধু চিঠি আদান-প্রদান করলেই হবে না, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনাকে এই বিষয়টিকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান এবং আন্তরিকতা থাকতে হবে।'
'ভারত যদি করতে পারে, আমরা কেন পারব না?' প্রশ্ন করেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
Comments