এএসপি শিপন হত্যা মামলা: ২ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে ঢাকার একটি আদালত আজ সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে ঢাকার একটি আদালত আজ সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় আজ পর্যন্ত পিবিআই কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মাইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত ৯ মার্চ আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হাসপাতালের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার অপর ১৪ জন হলেন— হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন রেমন ও সাজ্জাদ আমিন, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সমন্বয়কারী রেদওয়ান সাব্বির সজিব, রান্নাঘরের কর্মী মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল ও সাইফুল ইসলাম পলাশ, নিরাপত্তারক্ষী লিটন আহমেদ এবং ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।

চার্জশিটের বিষয়ে শিপনের বাবা অনাস্থা পিটিশন দাখিল করেন যে, তদন্ত কর্মকর্তা সম্পৃক্ততা থাকলেও এফআইআরে উল্লেখ করা অভিযুক্ত ডা. নুসরাতকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেননি।

এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ঢাকার আরেকটি আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিপনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। তবে ওই সময় কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না।

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন কর্মী শিপনকে একটি কক্ষে টেনে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান এবং এরপর শিপন অজ্ঞান হয়ে যান।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জন শিপনকে জোর করে দ্বিতীয় তলার পর্যবেক্ষণ কক্ষে নিয়ে যান এবং তাকে মারধর করেন।

কিছুক্ষণ পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন শিপন। স্বজনরা তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে (এনআইসিভিডি) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিপনের মৃত্যুর পর তার বাবা ফয়জুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে হাসপাতালের ৫ পরিচালকসহ ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্ত রিমন ও সাজ্জাদ এখনো পলাতক, মামুন এবং ফাতেমা জামিনে রয়েছেন। বাকি ১১ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এএসপি শিপনকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যাডিকশন হাসপাতালে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

2h ago