প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

'অবাধে চলছে হরিপুরের বন্যপাখির মাংসের রেস্টুরেন্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনের একটি অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের কনস্টেবল সানাউল সোহান।

গত ২২ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদে তিনি বলেছেন, 'সংবাদের শুরুতে লেখা হয়, নিজের কর্মজীবনের ১১ বছরে পদার্পণ উদযাপন করতে সহকর্মীদের নিয়ে বুধবার রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে ''বালিহাঁস পার্টি'' করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের কনস্টেবল সানাউল সোহান। এরসঙ্গে আমাদের ছবি প্রকাশ করা হয়।

প্রকৃত ঘটনা হলো, ২১ সেপ্টেম্বর আমরা সহকর্মীদের নিয়ে হরিপুর বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। আমরা পাতিহাঁসের মাংস দিয়ে রাতের খাবার খাই। তখন আমি ফেসবুকে একটি ছবিসহ পোস্ট দিই। সেখানে আমি ভুলবশত (টাইপিং মিস্টেক) পাতিহাঁসের জায়গায় বালিহাঁস লিখি। এ অবস্থায় আমার মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বানান ভুলের বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষনিক আমি সেই পোস্ট ঠিক করি। প্রতিবেদককে দেওয়া বক্তব্যেও আমি এই কথাটি উল্লেখ করেছি।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে আমিসহ আমার সহকর্মীরা অবগত আছি। এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এবং একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আমরা দেশের সব আইন মেনে চলি। তাই এ ধরনের আইনবিরোধী কাজ থেকে আমরা বিরত থাকি। উপরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে ভুল বোঝাবুঝির ফলে সৃষ্টি হয়েছে।'

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদটির শুরুর অংশ ও ছবিটি সানাউল সোহানের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া, যেখানে তিনি নিজেই ''বালিহাঁস পার্টি'' শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। সেটিই প্রতিবেদনে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া, এ ব্যাপারে ফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি যে বক্তব্য দেন তা প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল।

উল্লেখ্য, হরিপুর বাজারের পাখির মাংসের রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত রেস্টুরেন্টে এই প্রতিবেদক সম্প্রতি অনুসন্ধান চালান। সে সময় রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা বলেন, তারা এসব রেস্টুরেন্টে শুধু বন্যপাখির মাংস বিক্রি করেন। তাদের রেস্টুরেন্টে পাতিহাঁস, মুরগি ও কোয়েলের মাংস বিক্রি হয় না। প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের সময় রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্টরা কেবল বন্যপাখি বিক্রি হয় বলে দাবি করলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন তারা হাঁস, মুরগি বা কোয়েল পাখির মাংস বিক্রি করেন বলে দাবি করেন। প্রকৃতপক্ষে কীসের মাংস রান্না করা হয় তা জানতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় রান্না করা মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল। এসব নমুনার ফরেনসিক পরীক্ষার ফলাফল এখনও পায়নি বন অধিদপ্তর।

Comments

The Daily Star  | English

Rice prices remain rigid, warranting a close look: GED

Rice contributed 40% to food inflation in May, which hit 50% in June

1h ago