ধলেশ্বরীতে অস্ত্রের মুখে ট্রলার যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে ডাকাত দল।
গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বক্তাবলী ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাদল ফকির বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
ডাকাতির কবলে পড়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মুহিউদ্দিন ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অন্তত ২২ যাত্রী ছিলেন ওই ট্রলারে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে বক্তাবলী খেয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিল ট্রলারটি। নদীর মাঝামাঝি স্থানে একটি স্পিডবোটে চড়ে ৭-৮ জনের ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। ডাকাত দল যাত্রীদের মারধর শুরু করে এবং সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা মোবাইল ফোন লুটে নেয়।'
যাত্রীদের মধ্যে তার ভায়রা মনির হোসেনও ছিলেন জানিয়ে ইউপি সদস্য বলেন, 'মনিরের সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করেছে ডাকাতরা। ২ যাত্রী টাকা দিতে অসম্মতি জানালে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে টাকা নিয়ে স্পিডবোটে চড়ে মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুরের দিকে চলে যায় তারা।'
নদীতে নিয়মিত পুলিশের টহল থাকে না বলে অভিযোগ মুহিউদ্দিনের। পুলিশের টহল থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাদল ফকির বলেন, 'জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৌ-পুলিশের একটি দল। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।'
ইউপি সদস্যের অভিযোগ অস্বীকার করে নদীতে নিয়মিত টহল থাকে বলেও দাবি করেছেন নৌ-পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডাকাতির এ ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মো. মোহসীন।
তিনি বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। আর ঘটনাটি নদীতে হওয়ার কারণে বিষয়টি তদন্ত করছে নৌ-পুলিশ।'
Comments