ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযোগকারীকে থানায় মারধর, ওসিসহ ২ পুলিশ প্রত্যাহার

ওসি শিবালয়
প্রত্যাহারকৃত ওসি মো. শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযোগকারীকে থানার ভেতর মারধরের অভিযোগে শিবালয় থানার ওসিসহ ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে সোমবার জেলা থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আর অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে গত শনিবার রাতে প্রত্যাহার করা হয়।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার রাতে শিবালয় থানার ভেতরে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর ৫ বছরের মেয়েকে গত ২০ জুলাই শিবালয় উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান খানের চাচাতো ভাই রজ্জব খান ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে তিনি অভিযোগ দেন। 

গত ১৪ আগস্ট তিনি শিবালয় থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ হলেও থানা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় আমি খোঁজখবর নিতে থানায় যাই।'

'থানায় আসার কারণ জানতে এগিয়ে আসেন এএসআই আরিফ হোসেন। তাকে পুরো ঘটনা জানাই। কিন্তু তিনি কথা শোনার এক পর্যায়ে আমার শার্টের কলার ধরে একটি রুমে নিয়ে যান। এরপর তিনি অভিযুক্তের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে ফোন দেন এবং আমাকে এলোপাতারি কিল, ঘুষি, লাথি মারেন, লাঠি দিয়েও পেটান,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এ সময় বাইরে থাকা আমার মা ও মেয়ে কান্নাকাটি করলেও আমাকে রক্ষায় থানার কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে তিনি আমাকে সেখান থেকে তুলে বলেন চলে যা, দৌড়ে চলে যাবি।'

পরে তিনি মা ও মেয়েকে নিয়ে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যান শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে।

জানতে চাইলে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনা জানার পর অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে রাতেই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।'

'একইসঙ্গে ধর্ষণ মামলার আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago