গ্রাহকের ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ ডাক অপারেটর কারাগারে
সরকারি ডাক বিভাগে (জিপিও) গ্রাহকদের আমানত থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিসের ৩ ডাক অপারেটরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তারা হলেন-মো. জয়নাল আবেদীন, কবির আহমেদ ও মো. হাসান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আজ সোমবার তারা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক বেগম জেবুননেছা আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া এই ৩ জনসহ চট্টগ্রাম জিপিওর ৫ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের দাখিল করা চার্জশিটও গ্রহণ করেন আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'ওই ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আগে আদালত দুদকের দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করেন। দুদকের তদন্তে তাদের (ডাক অপারেটরদের) সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতি সিন্ডিকেটে ৫ জন জিপিও কর্মকর্তা জড়িত যারা পোস্ট অফিস থেকে জনসাধারণের আমানত ভুয়া হিসাবের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।'
মামলাটি বিচারের জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, জিপিওর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় পোস্ট অফিসে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ৩ গ্রাহকের জমাকৃত অর্থের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জিপিওর ২ কর্মীর দায় খুঁজে পায় নিরীক্ষা বিভাগ। পাশাপাশি জালিয়াতি চক্রের খোঁজও পায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
ওই দুজন হলেন-সহকারী পোস্ট মাস্টার সারওয়ার আলম ও কাউন্টার অপারেটর নুর মোহাম্মদ।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট তাদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জিপিও চট্টগ্রাম মেট্রো সার্কেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন এই দুজনকে অভিযুক্ত করে একটি ডায়েরি দায়েরের পর দুদক তদন্ত শুরু করে।
তদন্ত চলাকালে দুদক ওই চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আরও ৩ জনকে শনাক্ত করে।
এই চক্রটি পোস্ট অফিস থেকে ২৯ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় তদন্তে।
Comments