সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিশিয়ান নিহত, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ঝড়ের ছিঁড়ে পড়া সঞ্চালন লাইন মেরামত করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপুল মিয়া (৩০) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ান নিহত হয়েছেন।
এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরও দুজন—শেরপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে মোতালেব (৪০) ও একই এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে বাদল (৩৫) আহত হয়েছেন। তারা দুজন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইলেকট্রিশিয়ান।

আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিপুলের বাড়ি পঞ্চপীর এলাকায়। তার বাবার নাম সোহরাব আলী। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইলেকট্রিকের কাজ করতেন।
দুর্ঘটনার পর কন্ট্রোল রুমের গাফিলতির অভিযোগ তুলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কামরাবাদ আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ জনতা। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ জনতা আসবাবপত্র ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী রাজু আহম্মেদ (২৭) আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন মেরামতের সময় তিন ইলেকট্রিশিয়ান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, 'ঝড়ে বাউসি এলাকায় তার ছিঁড়ে পড়েছিল, সেখানে তিনজন কাজ করছিলেন। আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পিডিবির (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) লাইনে বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিনা উসকানিতে বিক্ষুব্ধ জনতা আমাদের অফিসে হামলা চালিয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।'
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, 'পুলিশ হাসপাতাল ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় পরিদর্শন করেছে।'
'একজন ইলেকট্রিশিয়ান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।
Comments