লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২০ জন।
আজ সোমবার ভোররাত ২টার দিকে উপজেলার মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসার বটু মিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হাসান। তারা তিনজনই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বলে জানান ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন।
এ সময় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা।
আহতদের মধ্যে সুমন হাসান, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হাসন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম ও আব্দুল মালকের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোররাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর রামগতিগামী মেঘনা পরিবহণের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান তিন চালক। আহত হন আরও ২০ জন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (সদর) সদর থানার স্টেশন অফিসার রনজিৎ কুমার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তারা তিনজনের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রনজিৎ কুমার জানান, নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নাল আবেদীন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Comments