সাভারে তেলের ট্যাংকার থেকে আগুনে আরও একজনের মৃত্যু

এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ৩ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউট
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভবন। ফাইল ছবি

ঢাকার সাভার হেমায়েতপুরে তেলের ট্যাংকার থেকে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তার নাম হেলাল উদ্দিন (৪০)। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন ৩ জন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, হেলালের শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল। এইচডিইউ'তে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সেখানেই রাতে তিনি মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় বাকি ৭ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরাও গুরুতর।

এদিকে হেলালের মামা শাহ আলম জানান, হেলালের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গড়িচান্না গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল শিকদার। পেশায় ট্রাক ড্রাইভার তিনি। বরগুনা থেকে ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে গাজীপুর যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ৯ জনকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম(৪৫) নামে একজন জরুরী বিভাগে মারা যায় এবং ঘটনাস্থলে আরও একজন মারা যায়।

দগ্ধ অন্যরা হলেন, প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম (৩৫) ৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির চালক আল আমিন (২২) ১৫ শতাংশ ও গাড়িটির লেবার মিলন মোল্লা (২০) ৪৫ শতাংশ, ফল ব্যবসায়ী আল আমিন (৩০) ১০ শতাংশ, তার মেয়ে স্কুল ছাত্রী মিম (১০) ২০ শতাংশ, ফল ব্যবসায়ী নিরঞ্জন (৪৫) ৮ শতাংশ ও সাকিব (২৪) ১০০ শতাংশ।

হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন। তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার দুর্ঘটনায় রাস্তার ওপর উল্টে ছিলো। সেটির কারণে পাশ দিয়ে অন্যসব গাড়ি ধীর গতিতে পার হচ্ছিল। আর রাস্তায় ওই ট্যাংকার থেকে তেল গড়িয়ে পড়ছিল। তখন হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে উঠে। এতে ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

তিনি জানান, তার প্রাইভেট কারে কোনো যাত্রী ছিল না। যখন প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরে যায় তখন তিনি দৌঁড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে এর আগেই তার মাথার একপাশে ও পায়ে দগ্ধ হন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago