গাজীপুর

সিলিন্ডারের আগুনে আরও ৪ জনসহ মৃত ১০

ফাইল ছবি

গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দুই শিশুসহ আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন--  জহিরুল ইসলাম কুটি (৩২), মোতালেব হোসেন (৪৮), সোলাইমান (১০) ও গোলাম রাব্বি (১১)।

এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় ১০ জন মারা গেলেন।

আজ সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় সোলাইমান ও রাব্বি।

এর আগে রাত দেড়টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান জহিরুল ইসলাম ও রাত ৩টার দিকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে মারা যান মোতালেব হোসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ, রাব্বির ৯০ শতাংশ, মোতালেবের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও জহিরুলের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামে। বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থাকত। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত সোলাইমান। এই ঘটনায় পরিবারের সবাই সুস্থ থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেখানে দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিল সোলাইমান।

গোলাম রাব্বির বাবা শাহ আলম জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত আট বছর যাবত গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। রাব্বি দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বির মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। রাব্বি নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিল রাব্বি।

আগুনে মৃত জহিরুল ইসলামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ভেড়াখোলা গ্রামে। তার ভাতিজা মো. বাবু হোসেন জানান, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন জহিরুল। সেখানে মাছের ব্যবসা করতেন তিনি।

এদিকে মোতালেব হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন জানান, তার বাবার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইদুলপুর গ্রামে। কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন তার বাবা মা। এই ঘটনায় তার তা রমিছা বেগমও (৩৮) দগ্ধ হয়েছেন। তার তিন শতাংশ পুড়ে গেছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

3h ago