গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকার নির্মাণাধীন চার তলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া সুলতান মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৫০), দুই ছেলে নবী হোসেন (২৭) ও আলী হোসেন (২৫)। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকদের বরাতে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ সাহিদা বেগমের শরীরের ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া তার দুই ছেলে নবী হোসেনের ২২ শতাংশ, আলী হোসেনের ২০ শতাংশ এবং স্বামী সুলতান মিয়ার ৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।

সুলতান মিয়ার আরেক ছেলে মো. সাঈদ বলেন, একই ভবনের পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটে থাকেন তারা৷ এলাকায় বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকান আছে তাদের। ঘটনার সময় একই ঘরে ছিলেন তার বাবা, মা ও দুই ভাই।

'রাতে ছোটভাই কাজ থেকে ফিরে মাকে গোসলের জন্য পানি গরম করতে বলেন। মা রান্নাঘরে গিয়ে চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।'

সাঈদের স্ত্রী সুলতানা আক্তার বলেন, 'আমরা ঘরে ঢুকে দেখি আমার শ্বাশুড়ির শরীরে আগুন। তিনি দৌড়ে বাথরুমে ঢোকেন। পরে তার শরীরে পানি ঢালি। লোকজন পরে ঘরের আগুন নেভায়। ঘরের আসবাবপত্রও পুড়ে গেছে।'

দগ্ধ চার জনকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফ্ল্যাটটিতে কোন গ্যাস সিলিন্ডার আমরা পাইনি৷ তিতাসের সরাসরি লাইনের দুটি চুলা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

1h ago