মহাখালীতে ভবনে আগুন: ৯ তলা থেকে নামতে গিয়ে নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে নামতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মৃত হাসনা হেনা (২৭) ভবনটির ৯তলায় একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেছেন। ভবন থেকে নামার সময় পড়ে মারা যান তিনি।
ওসি আরও জানান, হাসনা হেনাকে উদ্ধার করে মহাখালীর মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টার লিমিটেডে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মেট্রোপলিটন মেডিকেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক শিমুল চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যার পর আগুন লাগা ভবন থেকে এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে মৃত ঘোষণা করার পর তার স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছে।'
ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মী আবুল বাশার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভবনে আগুন লাগার পর ওই নারী আতঙ্কিত হয়ে ভবনের পেছন দিকে ৯ তলা থেকে ইন্টারনেটের তার বেয়ে নামার চেষ্টা করার সময় নিচে পড়ে যান। এতে তার মাথা থেতলে যায়, পা-কোমরের হাড় ভেঙে যায়।'
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। এছাড়া ১৪তলা ওই ভবনটিতে অনেকে আটকা পড়েন। অন্তত তিনজনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মহাখালীর ১৪তলা খাজা টাওয়ারের ১৩তলায় আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
তিনি বলেন, 'আমরা শুনেছি ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।'
তবে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের ১২ তলায় অনেককে জানালা ভাঙতে দেখা গেছে। অনেকে ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ২৩-২৫ বছর বয়সী এক যুবক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাবাসহ আরও ৬ জন ভবনে আটকা পড়েছেন। এক ঘণ্টা আগে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তারপর থেকে তার সঙ্গে আরও যোগাযোগ করতে পারিনি।'
তিনি জানান, তার বাবা ১২তলায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরি করেন।
আগুন লাগার পর গুলশান ১ থেকে মহাখালী সংযোগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভবনটিতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) সার্ভিস প্রোভাইডার, ডাটা সেন্টার এবং ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) অপারেশন সেন্টার আছে। আগুনের কারণে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
Comments