কৃষি মার্কেটে আগুন: আপ্রাণ চেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে বাজারের একটি অংশ

কৃষি মার্কেটে আগুন: আপ্রাণ চেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে বাজারের একটি অংশ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নতুন কাঁচা বাজারের (কৃষি মার্কেট) একটি অংশ ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

এখনো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নতুন কাঁচা বাজার (কৃষি মার্কেট) এলাকা। ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে মার্কেটের চার ভাগের প্রায় তিন ভাগ।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিভিন্ন সোর্সে পৌঁছে আগুন নির্বাপন করতে একটু সময় লাগবে। তবে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কৃষি মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছে পুলিশ, এনএসআই, র‌্যাব, বিজিবি, বিমান বাহিনী ও সেনা বাহিনী। তাদের সহযোগিতা করেন দোকানের ব্যবসায়ীরা।

এই বাজার ক, খ ও গ অংশে ভাগ করা হয়েছে। একেক অংশ একেক ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। আগুন লেগে খ ও গ অংশের অধিকাংশ দোকান পুড়ে গেছে। তবে সম্মিলিত চেষ্টায় ক অংশের (মাছ বাজার, মুরগি, ডিম ও মাংসের দোকান) দোকানগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

কৃষি মার্কেটে ছয়টি দোকানের স্বত্বাধিকারী নবী হোসেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৯৯৭ সালে এই মার্কেট শুরুর সময় থেকে আমি মাছের ব্যবসা করি। রাত ৩টার পরপর আগুন লাগার খবর পেয়ে এখানে আসি। তখন আগুন জ্বলছিল উত্তর-পশ্চিম দিকে। ধীরে ধীরে আগুন বাড়তে থাকে।'

তিনি বলেন, 'এই মার্টেকের চালের আড়ৎ লাগোয়া আলু-পেঁয়াজ-রসুনের দোকান থেকে শুরু করে মুদি দোকান, কাপড়, গয়নার দোকান সব পুড়ে যায়। আমাদের দোকানগুলো মার্কেটের পূর্ব অংশে। আমরা আশঙ্কা করছিলাম এদিকেও আগুন ছড়িয়ে পড়বে। হয়তো দাকানগুলো বাঁচাতে পারবো না।'

এই মার্কেটে একটি মাছের দোকান আছে সুরাজ মিয়ার। তিনি বলেন, 'রাত থেকেই আমরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পানি এগিয়ে দিয়ে সাহায্য করছিলাম। অন্যান্য ব্যবসার মতো আমাদের মালপত্র স্টোর করা থাকে না কিন্তু এই মন্দার বাজারে দোকান পুড়ে গেলে সেই ক্ষতি সামলানো খুব কঠিন।'

'আমরা একসঙ্গে ব্যবসা করি। চোখের সামনে দেখলাম আমাদের ভাইদের দোকান পুড়ে গেল। অনেকেই মালপত্র বের করতে পারেনি। ওদের যেমন খারাপ লাগছে, আমাদেরও খারাপ লাগছে,' বলেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, মার্কেটটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা তার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বিদ্যুত ভেতরে প্রবেশ করছে। কম সক্ষমতার তারে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলে শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাদের ধারণা কোনো একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। এটা শর্ট সার্কিট নাকি কয়েলের আগুন, সিগারেটের বা কেউ লাগিয়ে দিয়েছেন কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে, বলেন তাজুল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

3h ago