গেন্ডারিয়ায় গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮

গেন্ডারিয়া, গ্যাস পাইপলাইন, সূত্রাপুর, ধূপখোলা বাজার, তিতাস, ওয়াসা,
ছবি: গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার পাশে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।

দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিমের দোকানদার মো. রাশেদ (৩০), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান(২৩), শাড়ি দোকানদার আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫) এবং মো. সোহেল (৪৮)।

আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে আহতরা জানিয়েছেন।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. আল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওয়াসার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মচারী সেখানে কাজ করছিলেন। এসময় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর, তিতাসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান এবং পাইপলাইন মেরামতের কাজ করছেন।'

যোগাযোগ করা হলে ওয়াসার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) শহীদউদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।'

দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আলআমিন জানান, তার বাবা দোকানে বসা ছিলেন। তার বাবার পাশে ছিলেন মেয়ে ও নাতি। তখন দোকানের সামনের রাস্তায় গ্যাস লাইনে মেরামতের কাজ চলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।

আলআমিন অভিযোগ করেন, 'কয়েকদিন ধরেই ওখানে কাজ চলছিল। তবে, তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে কাজ করছিলেন।'

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গেন্ডারিয়ার ঘটনায় দগ্ধ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে আনা হয়। পরে আরও ৫ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়ে। তাদের মধ্যে রহিম বেশি দগ্ধ হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।'

সূত্রাপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি পাইপলাইনে লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

তিনি আরও বলেন, 'সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের দল সেখানে চলে যায়।'

Comments